Ads Top

ফাগুনের ছোঁয়ায় ভালবাসা লেগেছে তরুণ-তরুণীদের মনে তারা ভালবাসায় মেতে উঠেছে বনে বাদড়ে ও পার্কে।


           ফাগুনের ছোঁয়া লেগেছে তরুণ-তরুণীদের মনে। প্রকৃতির সঙ্গে মিলিয়ে তরুণীরা সেজেছেন নানা রঙে। পরনে শাড়ি, মাথায় রঙিন ফুলের মুকুট, গলায় মালা, হাতে-খোঁপায় ফুল; তরুণদের গায়ে পাঞ্জাবি। কেউ কেউ মুখে এঁকেছেন আলপনা। মুখে হাসি, চলনে উচ্ছ্বাস। এভাবেই দলে দলে তরুণ-তরুণী, কপোত-কপোতীরা হাতে হাত রেখে সারা দিন ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাঁরা ঠাঁই খুঁজছেন প্রকৃতির মাঝে। এ দৃশ্য বেশি চোখে পড়ছে রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও চন্দ্রিমা উদ্যান এলাকায়। প্রকৃতি আর ভালোবাসা যেন এক হয়ে মিশে গেছে।
সখী ভালোবাসা কারে কয়...সে কি কেবলই যাতনাময়’—ভালোবাসা যাতনাময় হোক আর না হোক কিংবা মধুর হোক আজ ঘুরতে হবে এটাই আজ তাদের কাম্য ।
বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস যেন পরিণত হয়েছে তরুণ-তরুণীদের প্রাণকেন্দ্র। পুব আকাশে সূর্য উঁকি দিতে না দিতেই ইট-পাথরের শহুরে জীবন থেকে মুক্তি নিতে সবাই ছুটে আসে ঢাকার মাঝে একচিলতে সবুজ ক্যাম্পাস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, অপরাজেয় বাংলা, বটতলা, হাকিম চত্বর, ভিসি চত্বর, ফুলার রোড, ক্যাম্পাস শ্যাডো, বিবিএ অনুষদের সবুজ চত্বর, কার্জন হল, মুহসীন হল মাঠ—সবই যেন পরিণত হয়েছে প্রেমিক-প্রেমিকাদের মিলনমেলায়। কে কাকে আগে ভালোবাসার কথা জানাবে অথবা প্রিয় মানুষটিকে আবারও আজ বলবে ‘ভালোবাসি’—তারই যেন প্রতিযোগিতা চলছে।

আজ বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। প্রিয় মানুষটিকে সঙ্গে নিয়ে রঙিন সাজে রাজধানীতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন মানুষ। দিনটিকে ঘিরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো রাজধানী ঢাকায় চলছে নানা আয়োজন। প্রিয়জনের সঙ্গে এ বন্ধন যেন অটুট থাকে সেই আশা নিয়ে, বিশেষ করে তরুণ-তরুণীদের মধ্যে দিবসটি পালনের তোড়জোড়।
ভালোবাসা দিবসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রিয় মানুষটির সঙ্গে ঘুরতে বেড়িয়েছেন সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘সব দিনই ভালোবাসা। ভালোবাসার জন্য বিশেষ কোনো দিনের প্রয়োজন নেই। ও (সঙ্গী) চাইল এ জন্য একটু বের হলাম।’
সকাল থেকে জোড়ায় জোড়ায় আবার কেউ কেউ দল বেঁধে ঘুরতে বের হয়েছেন। তবে কম-বেশি সবার হাতেই রয়েছে ফুল। অনেকে একসঙ্গে উপভোগ করেছেন ক্যাম্পাসের নানা দৃশ্য, বিভিন্ন সংগঠনের আয়োজিত নানা অনুষ্ঠান। ভালোবাসার প্রিয় মানুষটির সঙ্গে ভ্যালেনটাইনের স্মৃতি ফ্রেমে বন্দী করে রাখতে ক্যামেরা বা মোবাইল ফোনে সেলফি ওঠানোর ধুম দেখা যায় সর্বত্র। বিভিন্ন স্থানে, বিভিন্ন ভঙ্গিতে প্রিয় মানুষটির সঙ্গে একই ফ্রেমে বন্দী হতে ভুল করছেন না কেউই।
টিএসসিতে গিয়ে দেখা মিলল অর্পিতা আর শাহেদুজ্জামানের। তাঁদের সম্পর্ক বেশি দিনের নয়। কথা বলার সময় দুজনই বেশ লজ্জা পাচ্ছিলেন। শাহেদ বললেন, ‘ভালোবাসা দিবসের জন্য নয়, ওর সঙ্গে ঘুরতেই ভালো লাগে।’
শাহবাগে চোখ পড়তে দেখা গেল এবারের ভালোবাসা দিবস শুধু প্রেমিক-প্রেমিকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, তা হয়েছে সর্বজনীন। সব বয়সী মানুষের আগমনে পুরো এলাকা পরিণত হয়েছে মিলনমেলায়। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রাণসখা ঢাকা নামে লাভ ফর ঢাকা কনসার্ট। সেখানে সংগীত পরিবেশন করতে দেখা গেছে জলের গান, শিরোনামহীন এবং সর্বশেষ নগর বাউল জেমসও সেখানে সংগীত পরিবেশন করবেন। বিপুলসংখ্যক মানুষের অংশগ্রহণে সবচেয়ে বেশি ভিড় এই এলাকাতেই। আর টিএসসিতে চলছে পথনাটক।
শাহবাগ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকার প্রবেশমুখে ফুলের দোকানগুলো সবার নজর কাড়ছে। ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে দোকানগুলোতে এসেছে নীলকণ্ঠী লাল গোলাপ, হলুদ গাঁদা ফুল। এ ছাড়া বিভিন্ন ফুলের বাহারি সমাহার চোখে পড়ার মতো। সবার চাহিদা ‘ফুলের মালা’। বিক্রিও হচ্ছে বেশ।
 চাকরিজীবীর, কর্মচারী তথা সরবস্তরের লোকজন, অফিস, কর্মস্থল থেকে ছুটি নিয়ে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তারা আজ বের হয়েছেন 





কোন মন্তব্য নেই:

Blogger দ্বারা পরিচালিত.