চোরাচালান ঠেকাতে 'ডগ স্কোয়াড'।

কাস্টমস ও শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের উদ্যোগে ডগ স্কোয়াড গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। এরই মধ্যে এ ব্যাপারে ধারণাপত্র তৈরি করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ডগ স্কোয়াডের জন্য ছয়টি প্রশিক্ষিত কুকুর কেনা এবং ব্যবস্থাপনার জন্য ১০ জনকে নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এ ইউনিটের জন্য স্থান বরাদ্দের প্রক্রিয়াও চলছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, অনেক সময় ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম বা বিলাসদ্রব্যের ভেতরে লুকিয়ে নিষিদ্ধ পণ্য আনা হয়। কয়েকবার এমন কায়দায় আনা স্বর্ণের চালান ধরা পড়েছে। এ সব ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সরঞ্জাম ওপর থেকে দেখে বোঝার কোনো উপায় থাকে না। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে চালানের কোনো পণ্য পুরোপুরি খোলার পরই কেবল তা জানা যায়। কিন্তু ডগ স্কোয়াডের কুকুরগুলো মূলত গন্ধ শুঁকে নিষিদ্ধ পণ্য শনাক্ত করবে। তাই খোলার আগেই সন্দেহজনক চালানটি আলাদা করা যাবে। বিশেষ করে বিস্ফোরকের মতো ঝুঁকিপূর্ণ কিছু থাকলে ডগ স্কোয়াড আগেই ধারণা দিতে পারবে। বিমানবন্দরে আসা যাত্রীদের লাগেজ পরীক্ষায় এই স্কোয়াডকে কাজে লাগানো হবে। কার্গো ভিলেজে যত গাড়ি ঢুকবে এবং বের হবে তার সবই ডগ স্কোয়াড দিয়ে পরীক্ষা করানো হবে। এতে চোরাচালানের পণ্য শনাক্ত করা সহজ হবে।র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক মেজর মাকসুদুল আলম সমকালকে বলেন, শুল্ক গোয়েন্দার পক্ষথেকে বুধবার র্যাবের ডগ স্কোয়াড চেয়ে পাঠানো হয়। পরে তারা ডগ স্কোয়াডকে দিয়ে শাহজালাল বিমানবন্দরে লাগেজ ও কার্গো ভিলেজের মালপত্র পরীক্ষা করে। এ সময় বিস্ফোরক সন্দেহে একটি পাউডারের প্যাকেট জব্দ করে পরীক্ষার জন্য র্যাবের ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়। তবে পরীক্ষায় দেখা যায়, সেগুলো বিস্ফোরক নয় ।
কোন মন্তব্য নেই: