এরশাদের কোরবানির গরু গায়েব, তোলপাড়
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান, সাবেক রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের বরাদ্দের একটি তালিকা বাদ দিয়ে তা গায়েব করার অভিযোগ উঠেছে। গোপনে কোরবানির গরুটি তার চাচাতো ভাই মুকুল ও ভাতিজা আসিফ শাহরিয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ নিয়ে রংপুরে চলছে তোলপাড়। তবে তার ভাতিজা আসিফের দাবি, এটা ষড়যন্ত্র।
সূত্র জানায়, বরাবরের মতো এবারো এরশাদ রংপুরে বিভিন্ন সংগঠনে কোরবানির জন্য গরু বরাদ্দ দিয়েছেন। সেই তালিকায় থাকা রিপোর্টার্স ক্লাবের বরাদ্দের গরু তালিকা থেকে কেটে অন্যত্র বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে তারই আপন চাচাতো ভাই মুকুল ও ভাতিজা আসিফের বিরুদ্ধে।
গরু বিক্রির ঘটনায় বিপাকে পড়েছেন জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টির সিনিয়র নেতারা।
এ বিষয়ে মহানগর জাপার সদস্য সচিব এসএম ইয়াসির গণমাধ্যমকে বলেন, আমি আসিফকে একাধিকবার জিজ্ঞাসা করেছি কিন্ত সে কোনো কিছুই বলেনি। আমার সামনেই রিপোর্টার্স ক্লাবের নাম কেটে দিয়েছে আসিফ। বিষয়টি মহানগরের আহবায়ক মোস্তফা ভাইসহ সিনিয়র নেতারা স্যারকে অবহিত করেছেন।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত চেয়ারম্যানের চাচাতো ভাই মুকুল গরু বিক্রির বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, স্যার গরু বরাদ্দের তালিকা আসিফকে দিয়েছেন। আসিফই এ বিষয়ে ভালো বলতে পারবে। রিপোর্টার্স ক্লাবের গরু কেন তালিকা থেকে বাদ দেয়া হলো আমার জানা নেই।
এ ব্যাপারে এরশাদের ভাতিজা সাবেক সাংসদ মকবুল শাহরিয়ার আসিফ বলেন, সবই মিথ্যা। আমি স্যারের দেয়া তালিকা কাটছাঁট করিনি। আমাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে।
এ বিষয়ে রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোজাফফর হোসেন জানান, ২০১২ সালে রাজধানীর বারিধারা প্রেসিডেন্ট পার্কে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের সাথে বৈঠকে এরশাদের পুত্রখ্যাত সাংবাদিক কাজী লুৎফুল কবীরের মাধ্যমে রংপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের জন্য কোরবানির গরু বরাদ্দ দেয়া হয়।
তিনি জানান, গত তিনবছর থেকে জাপা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের উপস্থিতিতে রিপোর্টার্স ক্লাবের সামনে সেই গরু কোরবানি দেয়া হতো। এরই ধারাবাহিকতায় এবারো গরু বরাদ্দ হয়েছিল। কিন্তু এরশাদকে বিষয়টি অবহিত না করেই তালিকা থেকে রিপোর্টার্স ক্লাবের নাম বাদ দেন তার ভাতিজা আসিফ শাহরিয়ার। বিষয়টি আসিফসহ জাতীয় পার্টির সিনিয়র নেতাদের অবহিত করা হয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই: