পাক হামলা ঠেকাতে ইজরায়েল থেকে সশস্ত্র ড্রোন কিনছে ভারত
নিজেদের দেশে সশস্ত্র ড্রোন বানিয়ে ফেলেছে চিন ও পাকিস্তান। দেশে জঙ্গি-দমনে সেই ড্রোন ব্যবহারও করছে পাক সরকার। এই খবর ফাঁস হয়ে যাওয়ার পরেই জোর তৎপরতা শুরু হয়েছে দিল্লির। কিছু দিনের মধ্যেই ইজরায়েলের কাছ থেকে সশস্ত্র ড্রোন কিনতে চলেছে ভারত। প্রথম পর্যায়ে ইজরায়েলের কাছ থেকে কেনা হচ্ছে দশটি সর্বাধুনিক ড্রোন-‘হেরন টিপি’। সবকটিতেই অস্ত্র ভরা যাবে। সবকটিই হবে দূর পাল্লার। খবর আনন্দবাজার
ওই সর্বাধুনিক ড্রোন বিমানবাহিনীর হাতে এলে অনেক সহজে অন্য দেশের ‘টার্গেট’গুলোর উপর আঘাত হানা যাবে। তাতে যুদ্ধে ভারতীয় বিমানবাহিনীর ক্ষয়-ক্ষতিও কিছুটা কমবে। সেনাবাহিনী সূত্রের খবর, তিন বছর আগেই ইজরায়েলের কাছ থেকে সর্বাধুনিক ড্রোন ‘হেরন টিপি’ কেনার কথা ভাবা হয়েছিল। কিন্তু, তার পর আর সেগুলি কেনা হয়নি।পরমাণু শক্তিধর দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্র- চিন ও পাকিস্তান নিজেদের দেশে সর্বাধুনিক, সশস্ত্র ড্রোন বানাতে শুরু করায় ইজরায়েল থেকে তড়িঘড়ি ওই ড্রোনগুলি কেনার ব্যাপারে দিল্লির তৎপরতা শুরু হয়েছে। ইজরায়েলের কাছ থেকে ওই ড্রোনগুলি কেনার জন্য বিমানবাহিনীর তরফে এ বছর জানুয়ারি মাসে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কাছে আর্জি জানানো হয়। এর পরেই ঠিক হয়, ইজরায়েলের কাছ থেকে খুব শীঘ্রই দশটি দূর পাল্লার ড্রোন- ‘হেরন’ কেনা হবে। সেনাবাহিনী সূত্রের খবর, তড়িঘড়ি ওই ইজরায়েলি ড্রোন কেনার জন্য কেন্দ্রের সম্মতিও মিলেছে এ মাসের গোড়ার দিকে। চুক্তি-স্বাক্ষর হতেও দেরি হবে না। দুই পরমাণু শক্তিধর প্রতিবেশী পাকিস্তান ও চিনের কথা মাথায় রেখে ভারত এর আগেও অস্ত্র কিনেছে ইজরায়েলের কাছ থেকে। চিন ও পাকিস্তানের উপর নজর রাখতে জম্মু-কাশ্মীরে পাহাড়ের উপর বিমানবাহিনী যে সম্পূর্ণ যন্ত্রচালিত ‘এরিয়াল ভেহিকেল’ (ইউএভি) বসিয়েছে, সেটিও ইজরায়েলের কাছ থেকেই কেনা হয়েছিল। সেনা-সূত্রের খবর, কিছু দিন আগে জম্মু-কাশ্মীরে বিমানবাহিনীর বেশ কয়েকটি ড্রোন গুলি করে নামিয়েছিল পাক জওয়ানরা। ওই ড্রোনগুলি সশস্ত্র ছিল না। জম্মু-কাশ্মীরে একটি ভারতীয় ড্রোন গুলি করে নামানোর কথা জুলাইয়ে পাকিস্তানের তরফে স্বীকার করে নেওয়া হয়েছিল।
সমরাস্ত্র-বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘এখনও পর্যন্ত যুদ্ধ বা কোনও সংঘর্ষে শুধু তিনটি দেশ- আমেরিকা, ব্রিটেন ও ইজরায়েল সশস্ত্র ড্রোন ব্যবহার করেছে। ভারত-সহ আরও ৭০টি দেশের হাতে ড্রোন রয়েছে। তবে সেই দেশগুলি এখনও পর্যন্ত কোনও যুদ্ধ বা, সংঘর্ষে সশস্ত্র ড্রোন ব্যবহার করেনি।’
কোন মন্তব্য নেই: