চীন প্রথমবারের মতো বিমানবাহী রণতরী বিধ্বংসী গোপন ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শন করেছে।
চীন প্রথমবারের মতো বিমানবাহী রণতরী বিধ্বংসী গোপন ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শন করেছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ বিজয়ের ৭০তম বার্ষিকীতে আয়োজিত বেইজিং’এর তিয়েনমিয়েন চত্বরে জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে ডংফেং বা পূবাল হাওয়া ডিএফ-২১ডি নামের ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শন করা হয়।
চীনের ক্ষমতাসীন কম্যুনিস্ট পার্টির সংবাদপত্রে গত সপ্তাহে এ ক্ষেপণাস্ত্রের উল্লেখ করা হয়। সে সময় চীনের প্রতিরক্ষা বিষয়ক পর্যবেক্ষকদের মধ্যে একে ঘিরে প্রচণ্ড আগ্রহের সৃষ্টি হয়। এ ক্ষেপণাস্ত্র পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ক্ষমতার ভারসাম্যে পরিবর্তন ঘটানোর হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এতকাল এ ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে নীরবতা পালন করেছে। ২০১১ সালে একবার মাত্র বলেছে যে এ জাতীয় ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির কাজ চলছে। অবশ্য পশ্চিমা প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের ধারণা,১৫৫০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে ডিএফ-২১ডি। এর গতি শব্দের চেয়ে ১০গুণ বেশি এবং একে প্রতিহত করতে পারে এমন যে কোনো ক্ষেপণাস্ত্রের চেয়েও অনেক বেশি গতি সম্পন্ন ডিএফ-২১ডি।
একটি বিমানবাহী রণতরী নির্মাণের খরচ দিয়ে প্রায় ১২০০ ডিএফ-২১ডি বানাতে পারে চীন। কাজেই এ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষার জন্য পাল্টা প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলা মোটেও সহজ হবে না। এ ছাড়া, লক্ষ্যবস্তু পৌঁছানোর জন্য সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা যায় এ ক্ষেপণাস্ত্র।
ফলে অনেকে বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, বিমানবাহী রণতরীর হয়ত আবর্জনার স্তূপে ঠাঁই নেয়ার সময় এসে গেছে।
কোন মন্তব্য নেই: